এম,এ রাজ্জাক,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় চাঁদার টাকা না পেয়ে একটি দোকানঘর নিশ্চিহ্ন করাসহ ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের ডাকাতের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় একজনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জন দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী শমসের আলী জানান, উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের ডাকাতের মোড়ে নিজ নামীয় জমিতে ঢেউটিনের বেড়া ও ছাউনি দিয়ে একটি দোকানঘর নির্মাণ করেন। গত ৭ আগস্ট সিলভার, সিরামিক, মেলামাইন, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন রকমারী পণ্য কিনে দোকানঘরে মজুত করা হয়। এরপর ১০ আগস্ট মিলাদ শেষে উদ্বোধন করা হয় এ ভ্যারাইটি দোকানের। দোকান মালিক শমসের আলী অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসা চালুর পর থেকেই ডাকাতের মোড়ের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জামাল হোসেন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি শুরু করে। তাঁর হুমকির মুখে গত ২০ আগস্ট থেকে দোকানঘর তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এ অবস্থায় সোমবার রাতে দোকানঘরটি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান জামাল হোসেনসহ তার ভাড়াটিয়া বাহিনি। এ বিষয়ে ডাকাতের মোড়ের কোন ব্যবসায়ী মুখ খোলেন নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, এ মোড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন জামাল হোসেন। তাকে চাঁদা না দিয়ে ব্যবসা করা কঠিন। কেউ কথা বললে তার ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত জামাল হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মোড়ে ব্যবসা করতে হলে বণিক সমিতিতে ভর্তি হতে হবে। শমসের আলী সমিতিতে ভর্তি হননি। ডাকাতের মোড়ে শমসের আলীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল কি-না এর কোন প্রমাণ নেই। তিনি আরও বলেন, ওই সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। শমসের আলীর প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলেও দাবি করেন তিনি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।